বুক রিভিউ


“দশ মিনিটের আমল”বইয়ের নামটা শুনলেই প্রথমে মনে প্রশ্ন জাগে এত কম সময়ে আবার কি কি আমল করা যাই!বইটা পড়ার মাধ্যমে সত্যিই আসলে বোঝা যাই কত মূল্যবার রত্ন লুকিয়ে আছে বইটিতে যেটা মাত্র দশ মিনিটেই অর্জন করে আমার সহজে পরকালের জন্য ঘাঁটি তৈরী করতে পারি।
আর সেই বিষয়গুলোই সুন্দর, সাবলীল এবং সহজ ভাষায় ছোট্ট ছোট্ট শিরোনামে আলোচনা করা হয়েছে বইটিতে।


















এমন অনেক ছোট্ট ছোট্ট শিরোনামের মাধ্যমে ৯২ পৃষ্ঠার মলাটবদ্ধরূপে বইটি লেখা হয়েছে।

আমাদের জীবনে দশ মিনিট সময় অনেক মূল্যবান।এটা স্বর্ণ রুপার চেয়েও দামি।আমাদের হায়াত যদি লম্বা হয় তাহলে তা সত্তর আশি বছরের বেশি হবেনা।কারণ এউ উম্মতের সাধারণ বয়স হলো সত্তর বছর। আমাদের চিন্তা করার বিষয় হলো আমরা তো ঐসব লোকেদের অন্তর্ভুক্ত হতে পারি, জীবনকে উপভোগ করার পূর্বেই যাদের মৃত্যু এসে গেছে।
অথবা যারা যৌবনে পা দিতে না দিতেই ইহজগত ছেড়ে আখিরাতের অনন্ত জীবনের পথে পাড়ি দিয়েছে।তাহলে একবার ভাবুন তাদের কাছে দশটা মিনিটের কত দাম!
তাই দশ মিনিটের আমলগুলো যদি প্রতিদিন করতে পারি তাহলে আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হতে পারি, যেহেতু রাসূল ﷺ বলেছেন,
“আল্লাহ তা’আলার নিকট সবচেয়ে প্রিয় আমল হলো যা অল্প করা হয় কিন্তু স্থায়ী”
তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত সুযোগটা কাজে লাগানোর।

আজকাল আমার অনেক ব্যস্ত,অনেকে সময়কে ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারিনা, হেলায় হেলায় কাটিয়ে দিই।কিন্তু দশ মিনিট আমল বইটি পড়ার মাধ্যমে কিভাবে অল্প সময়ের মধ্যে অনেক নেকি অর্জন করা যাবে তা সহজেই জানা যাবে।

মৃত্যু যাদের অতি নিকটে তাদের কাছে ১০টা মিনিটের কত দাম।তারা জীবনের সব সঞ্চয় দিয়ে ১০টা মিনিট কিনতে চাইলেও মৃত্যুর পর আর পারবেনা।যুগের সাথে তাল মিলাতে গিয়ে আমরা অনেক পিছিয়ে পড়েছি।আমাদের তো জানা নেই মালাকুল মাউত কখন এসে যাবে!তাই আমাদের এখন থেকেই সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে হবে, পরকালের জন্য সঞ্চয় করতে হবে এবং সেটার গাইডলাইন হিসেবে “দশ মিনিটের আমল”বইটি মূখ্য ভূমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি।







লিখেছেন: Prottasha Fariya