ইতিহাস জাতির দর্পণ। জাতির সফলতা ও ব্যর্থতার প্রমাণ।

ইতিহাস জাতির দর্পণ। জাতির সফলতা ও ব্যর্থতার প্রমাণ।
আমাদের ইতিহাস গৌরবের।আমাদের অতীত সৌরভের।।
আমাদের ইতিহাসের পাতায় পাতায় সাহস আর শৌর্যের গল্প।
আমাদের অতীতের খাতায় খাতায়
বিজয় আর বিরত্বের গল্প।
প্রিয়তম হযরত মোহাম্মাদ মোস্তফা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর শ্রেষ্ঠ নবী ও শ্রেষ্ঠ মহামানব।
পৃথিবীতে এই শ্রেষ্ঠ মানবের স্পর্শ যাঁরা পেয়েছেন,এই সুরভিত গোলাবের সংস্পর্শে যাঁরা রয়েছেন,তাঁরাই হয়েছেন ধন্য।হয়েছেন পৃথিবীর বুকে অনন্য।
১১ হিজরিতে মোহাম্মাদ মোস্তফা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তেকাল করলেন।তাবৎ পৃথিবী শোকে ও দুঃখে মোহ্যমান হয়ে পড়লো।
আলমে ইসলামে তখন এক পাহাড় বিপর্যয় নেমে আসলো।
তখন মুসলমানদেরকে সঠিক পথে পরিচালনা করার জন্যে
এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিধিবিধান বাস্তবায়ন করার জন্যে, একজন খলিফা নির্বাচন করার তীব্র প্রয়োজন দেখা দিলো।ফলে নক্ষত্রতুল্য সাহাবারা পরস্পর পরামর্শ করে হযরত সিদ্দিকে আকবর রাঃ কে খলিফা নির্বাচন করলেন।
কারণ তিনি একদিকে যেমন সরদারে কায়েনাতের স্পর্শধন্য।অন্যদিকে তিনি
মুসলিম উম্মাহর মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ ও অনন্য।
সর্বসম্মতিক্রমে হযরত আবু বকর রাঃ মুসলিম উম্মাহর খলিফা নির্বাচিত হলেন।তখন থেকেই খলিফাদের হিরন্ময় কাফেলার যাত্রা শুরু হলো।শুরু হলো খলিফাদের সোনালি ধারা।যাঁদের একেকজন একেকটি নক্ষত্র,একেকটি সেতারা।
১১ হিজরিতে খলিফাদের যে নক্ষত্র মিছিল শুরু হয়েছিলো, ১৩৪২ হিজরিতে এসে সে মিছিল থমকে দাঁড়ালো।
কুচক্রী কামাল পাশার ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের কারণে ইসলামী খেলাফতের পতন হয়ে গেলো।ফলে আমদের পতাকা ও নিশান ভূলন্ঠিত হলো।
উম্মাহর ব্যথা ও বেদনায়,বিপর্যয় ও যাতনায়, সদা জাগ্রত থাকা ইস্তাম্বুলের শেষ কেল্লাও মাটিতে মিশে গেলো।
আমরা আমাদের মাকসাদ ও মারকায হারালাম।আমাদের মুহাফেজ ও অভিভাবক হারালাম।
আমাদের গৌরব ও সৌরভের, আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক সেইসব খলিফাদের ইতিহাস আলোচিত হয়েছে পাকিস্তানের সুনামধন্য আলেম, লেখক ও গবেষক সায়্যিদ আব্দুল কুদ্দুস হাশেমীর গ্রন্থে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

WordPress Video Lightbox